দেশে করোনা সংক্রমণ আরো কিছুটা কমে গেলে বড় ঝুঁকি না থাকলেই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হবে।
অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়ের পরই বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খুলে দেয়া হবে। আর সংক্রমণ কত নিচে নামলে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হবে এ জন্য বিশেষজ্ঞ মতামতের অপেক্ষা করছি।
শুক্রবার (২৭ আগস্ট) সকালে গাজীপুরে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অনুষ্ঠানে যোগদান শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষার্থীদের টিকা দেয়ার পর আগামী অক্টোবরের মাঝামাঝি বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেয়া হবে। এ ছাড়া আগামী সপ্তাহে জাতীয় পরামর্শ কমিটির সভা আহ্বান করা হয়েছে তাদের মতামত পেলে স্কুল খুলে দেয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
মন্ত্রী বলেন, বিজ্ঞানসম্মতভাবে বলা হয়- শতকরা আক্রান্ত ৫ শতাংশের নিচে নামলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া যায়। কিন্তু এমন পরিস্থিতি এখনো বাংলাদেশে হয়নি। শিক্ষা মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন ও শিক্ষক সমিতিসহ জাতীয় কমিটির সভা শেষে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।
অনলাইন গেমের বিষয়ে তিনি বলেন, মোবাইলের গেমস তো প্রযুক্তির সঙ্গে ভালো কিছু থাকে, মন্দ কিছুও থাকে। এটা শুধু এই সময়ের জন্য নয়, মোবাইল ফোন জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে গেছে।
সে ক্ষেত্রে শিক্ষকরাও যেমন দেখবেন। তবে বড় একটি সময়তো শিক্ষার্থীরা বাড়িতে কাটান, সেখানে বাবা-মায়ের তদারকিটা খুব জরুরি। মোবাইল বা অন্য ডিভাইজের মাধ্যমে পড়াশোনাটা এখন বাস্তবতা। এটাকেও মেনে নিতে হবে।
শ্রেণি কক্ষে ফিরিয়ে নিয়ে গেলেও অনলাইন পদ্ধতিও থাকবে। তিনি শুক্রবার সকালে গাজীপুরে বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর জীবনীর উপর একটি প্রামাণ্যচিত্র অনুষ্ঠানে যোগ দেন। এর আগে তিনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে শেখ রাসেল চত্বরে গাছের চারা রোপণ করেন।