মহামারি করোনা ভাইরাসের ঊর্ধ্বগতি ঠেকাতে ১৪ এপ্রিল থেকে দেশব্যাপী কঠোর লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। এই করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন বিধি-নিষেধ আরোপ করা সত্বেও শনিবার (১৭ এপ্রিল) সকালে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার ভূলতা পুলিশ ফাঁড়ির সামনে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে বাস-লেগুনায় মানুষকে চলাচল করতে দেখা যায়। তাও কয়েকগুণ বেশি ভাড়ায়।
এসময় লেগুনা ও বাস হেলপারদের ডাকাডাকি “এই কাঁচপুর যাইবনি কাঁচপুর”। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ক্ষেত্রে পরিবহন সংশ্লিষ্টরা বরাবরের মতো উদাসীন। রাস্তায় যেসব বাস-লেগুনা চলতে দেখা গেছে চালক এবং তাদের সহকারীর মুখে কোন মাস্ক পরিধান করতে দেখা যায়নি। অথচ কঠোর লকডাউন কার্যকর করতে উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় বসানো হয়েছে চেকপোস্ট। মাঠে রয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালতসহ র্যাব পুলিশের টহল।
লকডাউনের আওতায় থাকা বাস ও লেগুনা চালকরা জানান, এটা কেমন লকডাউন? সব অফিস আদালত খোলা, শুধু শুধু বাস-লেগুনায় লকডাউন। রাস্তায় পুলিশ না থাকলে কেউই লকডাউন মানতো না। করোনার ঝুঁকি থাকলেও জীবন বাঁচাতে এছাড়া আমাদের কোনো বিকল্প নেই।
রিকশা চালক মনির হোনে বলেন, সবাই তো কাজ করে খায়। লকডাউন কয়জনে মানে? লকডাউনে গরীবদের কষ্ট ছাড়া আর কিছু না। কবির নামে এক লেগুনা যাত্রী বলেন, আজ রাস্তায় লেগুনা চলায় আশা করি একটু তাড়াতাড়ি কাজে যেতে পারবো। এই লকডাউনে বেশি ভাড়া দিয়েও গাড়ি পাই না। গত তিনদিন কাজে যেতে অনেক কষ্ট হয়েছে।