বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার কিচক ইউনিয়নের বেলাই কেকারপাড়া গ্রামের পানি নিষ্কাশনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে মারপিটে এক ইউপি সদস্যসহ ৭জন আহত হয়েছে।
২২মে শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে অতর্কিত ভাবে এ মারামারির ঘটনা ঘটে। এতে কিচক ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড সদস্য মো. জাহেদুল ইসলাম খোকা ও তার ছেলে ফারুক, ঐ গ্রামের বদিউজ্জামানের স্ত্রী ফজিলা ও হানজেলার স্ত্রী মারুফা আহত হলে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে শিবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে দেয়।
সূত্র বলছে, স্থানীয় চেয়ারম্যান কর্তৃক প্রায় সাড়ে ৩বছর আগে কিচক সাতপাড়া ইউনিয়ন বোর্ডের সড়কের পাশ দিয়ে অত্র গ্রামের দুইশত পরিবারের পানি নিস্কাশনের জন্য ড্রেন নির্মান করা হয় যা চলমান আছে।
৭দিনপূর্বে ঐ গ্রামের শহিদুলসহ কতিপয় লোকজন ঐ ড্রেনেজ ব্যবস্থা বন্ধ করে দেয়। বিষয়টি সমাধানের জন্য আলোচনার একপর্যায়ে ছাইদুল, মামুন, পাপ্পু, জলিলসহ ১১/২০ জন অতর্কৃতভাবে হামলা চালায়।
হাসপাতালে কথা হয় ইউপি সদস্য মো. জাহেদুল ইসলাম খোকার সাথে। তিনি বলেন, আমাদের গ্রামের শহিদুল ও ছাইদুরগংরা নিজেরাই পানি নিস্কাসনে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেছে আবার আমাদেরকে পিটিয়েছে। আমি সুষ্ঠ বিচার দাবি করছি।
এ ব্যাপারে প্রতিপক্ষ শহিদুল ইসলাম জানান, তার বসতবাড়ি ঘেষে জোরপূর্বক ড্রেন নির্মানের চেষ্ঠা করা হচ্ছে। আমি এর প্রতিবাদ করেছি মাত্র।
এ ব্যাপারে কিচক ইউপি চেয়ারম্যান এবিএম নাজমুল কাদির শাহজাহান চৌধুরি জানান, প্রায় সাড়ে ৩বছর আগে কেকারপাড়া গ্রামে দু‘শ পরিবারের জলাবদ্ধতা নিরসনে ও পানি নিস্কাশনের জন্য ড্রেন নির্মান করা হয়। যার অর্ধেকেরও বেশি অংশ পাকা করার প্রস্তুতি চলছে। এমন সময় গ্রামের কতিপয় ব্যক্তি উক্ত ড্রেন নির্মাণে বাধাঁ প্রদান করেন।
এ প্রতিবেদন লেখার পূর্ব পর্যন্ত জনপ্রতিনিধি, প্রশাসন ও স্থানীয়রা বিষয়টি সমাধান করে দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছিলো।