শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে সাবেক স্ত্রী মাহমুদা খাতুন কর্তৃক মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন মামলার প্রতিবাদে ও ঘটনার সুষ্ঠ বিচারের দাবিতে সাংবাদিক সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী পরিবার।
সোমবার (২৪ মে) দুপুরে উপজেলার সারিকারিনগর এলাকায় সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পরিবারের সদস্য রনি মিয়া।তিনি বলেন, ‘শেরপুরের ডুবারচড় এলাকার মোহাম্মদ আলীর মেয়ে মাহমুদা খাতুনকে বিয়ে
করে আমার ভাই আ: জলিল। বিয়ের পর তাদের ঘরে একটি কন্যা সন্তান জন্ম নেয়। গত মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় কাউকে কিছু না জানিয়ে সবার অজ্ঞান্তে আমাদের বাড়ি থেকে ছোট মেয়েকে নিয়ে তার বাবার বাড়িতে চলে যায়।
পরে খোঁজাখুঁজ করে আমরা জানতে পারি সে তার বাবার বাড়িতে গেছে। আমার বাবা জরিপ উদ্দিনের সাথে এলাকার কয়েকজন মুরুব্বি মিলে আমার ভাবীকে আনতে তাদের বাড়িতে যায়। কিন্তু আমার ভাবীর পরিবার তাদের মেয়েকে আমার ভাইয়ের কাছে দিবে না বলে জানিয়ে দেয়।
এক পর্যায়ে আমার বাবা জরিপ উদ্দিনকে ভাবীর পরিবারের সদস্যেরা গাছের সাথে বেঁধে রাখার হুমকি দেয় এবং বিভিন্নভাবে লাঞ্চিত করে। পরে আমার বাবা তাদের বাড়ি থেকে আমাদের বাড়িতে চলে আসে।
এরপর আমার ভাই আ: জলিল গত ১৫ এপ্রিল আমার ভাবীকে কাজী অফিসের মাধ্যমে তালাক দেয় এবং বিধি মোতাবেক তালাকের কাগজ তাদের বাড়িতে পাঠায়।তিনি আর বলেন, ‘আমার ভাই তালাকের পর ১৭ মে সবার অজান্তেই ভাইয়ের নামে শেরপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইবুনালে মামলা করে আমার সাবেক ভাবী মাহমুদা খাতুন।
যার মামলা পিটিশন নং ২০৬।ভাইয়ের নামে যে মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন মামলা দিলো তা তদন্ত করলে ঘটনার সত্যতা পাওয়া যাবে। তাই আপনাদের মাধ্যমে আমরা সঠিক বিচার দাবি করছি।মাহমুদা খাতুনের সাথে কথা হলে তিনি মুঠোফোনে বলেন,আ: জলিল ও তার পরিবারের লোকজন আমাকে প্রতিনিয়ত মারধর করতো। অনেক সহ্য করেছি এখন আমি আর সহ্য করতে পারবো না।
প্রতিটি কথায় আমাকে খারাপভাবে বলতো। এজন্য আমি মামলা করেছি। এ ব্যাপারে ঝিনাইগাতী থানার অফিসার ইনচার্জ ফায়েজুর রহমান বলেন, ‘যেহেতু এখন মামলার বিষয় এটি। তদন্ত সাপেক্ষে বিস্তারিত বেরিয়ে আসবে।
সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী, আওয়ামীলীগ নেতা মন্টু সরকারসহ স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীরা।