সুনামগঞ্জের সীমান্ত নদী যাদুকাটায় নৌকা ডুবে নিখোঁজ হওয়ার এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। মৃত ব্যক্তির নাম- হাসিবুল ইসলাম (৩২)। সে জেলার তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের ঘাগটিয়া-চকবাজার গ্রামের আক্কাস আলীর ছেলে।
এঘটনায় জীবিত উদ্ধারকৃত শিশুরা হলো- একই ইউনিয়নের আদর্শ গ্রামের মাসুল মিয়ার ছেলে জিয়াউর রহমান (৯) ও আরিফুল ইসলাম (৬)।
আজ শনিবার (১৯ জুন) দুপুর ১টায় ফায়ার সার্ভিসের ডুবরি দলের সহযোগীতায় যাদুকাটা নদীর ঘাগটিয়া এলাকা থেকে নিখোঁজ ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়- গতকাল শুক্রবার (১৮ জুন) দুপুরে ভারতের মেঘালয় পাহাড় থেকে ঢল নামে জেলার তাহিরপুর উপজেলা সীমান্তের যাদুকাটা নদীতে।
সেই ঢলের পানির সাথে ভেসে আসা কাঠ ও লাড়ড়ি ধরতে সীমান্তের লোকজন ছোট-বড় নৌকা নিয়ে লাউড়গড় বিজিবি ক্যাম্পের সামনে অবস্থিত যাদুকাটা নদী দিয়ে ভারতের ভিতরে প্রবেশ করে।
ওই সময় প্রবল শ্রোতের কবলে পড়ে হাসিবুল ইসলাম ও তার দুই শ্যালক জিয়াউর রহমান ও আরিফুল ইসলামের নৌকাটি যাদুকাটা নদীতে ডুবে যায়।
তাদের আত্মচিৎকার শুনে এলাকার লোকজন অনেক চেষ্টা করে শিশু আরিফুর ও জিয়াউরকে নদী থেকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।
কিন্তু হাসিবুর রহমানকে খোঁজে পাওয়া যায়নি। সে নদীতে ডুবে নিখোঁজ হয়ে যায়। এঘটনাটি থানায় জানানোর পর পুলিশ বিকেলে ঘটনাস্থলে আসে। এরপর ফায়ার সাভির্সের ডুবরি দিয়ে সন্ধ্যা থেকে উদ্ধার অভিযান শুরু হয়। অবশেষে আজ শনিবার (১৯ জুন) দুপুরে নিখোঁজ হাসিবুরের লাশ পাওয়া যায়।
এর আগে গত ৩১ মে সকালে একই ভাবে যাদুকাটা নদীতে ভেসে আসা গাছ ধরতে গিয়ে নৌকা ডুবে হারিছ মিয়া (২৪) নামের এক যুবক নিখাঁজে হয়। এখনও পর্যন্ত তার কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি। সে উপজেলার উত্তর বড়দল ইউনিয়নের বড়গোফ-বারেকটিলা গ্রামের নুর ইসলামের ছেলে।
তাহিরপুর থানার ওসি আব্দুল লতিফ তরফদার এঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সাংবাদিকদের বলেন- ফায়ার সার্ভিসের সহযোগীতায় যাদুকাটা নদীতে অভিযান চালিয়ে নিখোঁজ হাসিবুর রহমানের লাশ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।