ভোলার তজুমদ্দিনে ‘পিপিআর রোগ নির্মূল ও ক্ষুরারোগ নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পে’র আওতায় বিনামূল্যে খামারীদের মাঝে কৃমিনাশক ঔষধ বিতরণ ও ক্ষুরারোগের ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্পেইন কার্যক্রম চাঁদপুর ইউনিয়নে উদ্বোধন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৪জুন) সকাল ১০ টায় উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের হেলিপ্যাড সংলগ্ন এলাকায় উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. পলাশ সরকার (পিএএ) এ কার্যকমের উদ্বোধন করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ডা. মোঃ নাহিদুল ইসলাম, উপ-সহকারী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা প্রভাত চন্দ্র মজুমদার, ভলান্টিয়ার ভ্যাক্সিনেটর মোঃ আব্দুর রহমানসহ গবাদিপশুর খামারিবৃন্দ।
জানতে চাইলে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. পলাশ সরকার (পিএএ) বলেন, ভোলায় প্রাণিসম্পদ পালনের জন্য খুবই সম্ভবনাময় একটি জেলা।
জেলার চারদিকে নদী বেষ্টিত হওয়ায় খুব সহজেই এখানে ক্ষুরারোগ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। ক্ষুরারোগ যেহেতু বায়ুবাহিত ভাইরাস দ্বারা সংগঠিত হয় তাই বিক্ষিপ্তভাবে ক্ষুরারোগের ভ্যাকসিনেশন না করে সব গবাদিপশু ভ্যাকসিনেশনের আওতায় আনা হবে।
সকলের সহযোগীতায় ক্ষুরারোগ নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হলেই ভোলা থেকে গবাদিপশুর গোস্ত বিদেশে রপ্তানী করা সম্ভব হবে। বিশ্ব প্রাণিস্বাস্থ্য সংস্থার পরিকল্পা মোতাবেক সরকার ২০৩০ সালের মধ্যে দেশকে ছাগলের পিপিআর রোগ মুক্ত করার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে।
এজন্য ছাগলকে পিপিআর রোগের টিকা প্রদান করা হবে। উল্লেখ্য, তজুমদ্দিনে রাশিয়া হতে আমদানীকৃত ক্ষুরারোগের ৩৯ হাজার ৬৬০ ডোজ আরিয়া এবং তিন ধরনের কৃমিনাশক ঔষধ গবাদিপশুর খামারিদের মাঝে বিনা মূল্যে প্রদান করা হবে।