শনিবার, এপ্রিল ২৭, ২০২৪
spot_img
Homeআইন-অপরাধতাহিরপুরে লকডাউনের আইন অমান্য করে পাঁচারকৃত মাদক ও কয়লা জব্দ

তাহিরপুরে লকডাউনের আইন অমান্য করে পাঁচারকৃত মাদক ও কয়লা জব্দ

সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর সীমান্তে লকডাউনের আইন অমান্য করে সোর্সরা লক্ষলক্ষ টাকার রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে ভারতে থেকে কয়লা ও বিভিন্ন প্রকার মাদকদ্রব্য পাচাঁর করছে।

বিজিবি পৃথক অভিযান চালিয়ে সোর্সদের পাচাঁরকৃত মাদকদ্রব্য ও কয়লা পরিত্যক্ত অবস্থায় জব্দ করেছে। কিন্তু সোর্স পরিচয়ধারীদেরকে গ্রেফতার করতে পারেনি। এব্যাপারে কোন মামলাও হয়নি বলে জানা গেছে।

যার কারণে সীমান্ত চোরাচালানের মূল নায়ক সোর্স পরিচয়ধারীদের দাপট ও তাদের অবৈধ অর্থ-সম্পদ দিনদিন বেড়েই চলেছে। এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে- আজ শুক্রবার (২ জুলাই) ভোরে তাহিরপুর উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের চারাগাঁও সীমান্তের এলসি পয়েন্ট,

বাঁশতলা তেতুলগাছ ও ১১৯৬পিলার সংলগ্ন এলাকা দিয়ে পৃথক ভাবে ভারত থেকে অবৈধ ভাবে বিপুল পরিমান কয়লা, মদ, গাঁজা ও ইয়াবা পাচাঁর করে সোর্স পরিচয়ধারী শফিকুল ইসলাম ভৈরব, রমজান মিয়া, বাবুল মিয়া,

খোকন মিয়া, জসিম মিয়া ও শহিদুল্লাহ। এখবর পেয়ে বিজিবি অভিযান চালিয়ে ৪৩হাজার ৫শত টাকা মূল্যের ২৯ বোতল ভারতীয় মদ পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে।

পাশর্^বর্তী বীরেন্দ্রনগর সীমান্তের রঙ্গাছড়া ও জঙ্গলবাড়ি এলাকা দিয়ে সোর্স পরিচয়ধারী লেংড়া জামাল ও মোস্তফা মিয়াগং ভারত থেকে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে বিপুল পরিমান কয়লা ও মদ পাচাঁর করে।

এই খবর পেয়ে বিজিবি অভিযান চালিয়ে রঙ্গাছড়া এলাকা থেকে ৯হাজার ১শত টাকা মূল্যের ৭শ কেজি অবৈধ কয়লা জব্দ করে। এসময় সোর্সরা পালিয়ে যাওয়ার কারণে কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি বিজিবি।

অপরদিকে বাদাঘাট ইউনিয়নের লাউড়গড় সীমান্তের যাদুকাটা নদী দিয়ে সোর্স নুরু মিয়া, জজ মিয়া, রফিক মিয়া, আমিনুল মিয়া, শহিদ মিয়া গং ভারত থেকে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে কয়লা পাচাঁরের পর বিজিবি অভিযান চালিয়ে নদী থেকে ৭হাজার ৮শত টাকার মূল্যের ৬শ কেজি অবৈধ কয়লা জব্দ করে।

কিন্তু সোর্সদের গ্রেফতার করতে পারেনি। এছাড়া বালিয়াঘাট সীমান্তের লালঘাট ও লাকমা এলাকা দিয়ে সোর্স ইয়াবা কালাম ও ইসাক মিয়া, টেকেরেঘাট সীমান্তের চুনাপাথর খনি প্রকল্প, বড়ছড়া এলসি পয়েন্ট,

বরুঙ্গাছড়া ও রজনীলাইন এলাকা দিয়ে সোর্স কামাল মিয়াসহ চানপুর সীমান্তের নয়াছড়া, রাজাইছড়া, কড়ইগড়া ও বারেকটিলা এলাকা দিয়ে সোর্স রফিকুল ইসলাম, আবু বক্কর,

আলমীগরগং ভারত থেকে কয়লা, বাঁশ, বিড়ি, মদ, গাঁজা, ইয়াবা ও গরু পাচাঁর করলেও তাদের বিরুদ্ধে বিজিবি কোন পদক্ষেপ নেয়নি বলে জানা গেছে। তাই এব্যাপারে র‌্যাব ও পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন সীমান্ত এলাকাবাসী।

এব্যাপারে সুনামগঞ্জ ২৮ ব্যাটালিয়নের বিজিবি অধিনায়ক তসলিম এহাসন সাংবাদিকদের বলেন- জব্দকৃত ভারতীয় অবৈধ মালামাল শুল্ক কার্যালয়ে জমা করার প্রক্রিয়া চলছে। সীমান্ত চোরাচালান প্রতিরোধের জন্য আমার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

 

spot_img
এই বিভাগের অনান্য সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

spot_img

জনপ্রিয় সংবাদ