শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে মাদক ব্যবসাকে কেন্দ্র করে দু’ পক্ষের সংঘর্ষে আ: ছালাম(৪৫) নামের এক মাদক ব্যবসায়ী আহত হন। ঘটনাটি ঘটেছে গত ২৭ আগষ্ট ২০২১ ইং তারিখে।
আহত ছালম উপজেলার মালিঝিকান্দা ইউনিয়নের বাতিয়াগাঁও গুচ্ছ গ্রামের আক্কাছ আলীর ছেল।এলাবাসীদের সুত্রে জানা যায়, বাতিয়াগাঁও গুচ্ছ গ্রামের বাসিন্দা আ: ছালাম এবং একই গ্রামের মোজাফর আলীর ছেলে মোতালেব(৪৯)
সম্পর্কে চাচা- ভাতিজা ও মাদক ব্যবসায়ী। তারা উভয়েই দীর্ঘদিন যাবৎ ওই এলাকায় মাদক ব্যবসা চালিয়ে আসলেও কিছুদিন আগ থেকে কোন একটি বিষয়কে কেন্দ্র করে সম্পর্কের অবনতি ঘটে।
মোতালেবের ভাষ্যমতে জানা যায়, ছালাম তিনানী বাজারের টেংরাখালী মোড়ের পাশে তার এক আত্মীয় কলিম উদ্দিনের বসতবাড়ীতে কলিম উদ্দিনের অনুপস্থিতিতে মাদক সেবী ও গ্রাহক নিয়ে বাড়ীতে ডুকে নেশা সেবন সহ বিক্রী করে।
এ নিয়ে কলিম উদ্দিনের স্ত্রী ছালামকে তার স্বামীর অনুপস্থিতিকে বাড়ীতে ডুকে মাদক সেবন ও বিক্রির কাজে নিষেধ করলেও, ছালাম সে নিষেধ মানেননি।
ঘটনার আনুমানিক ১৫ দিন আগে কলিম উদ্দিন বাড়ীতে এসে তার স্ত্রীর কাছে বিস্তারিত জানার পর, কলিম উদ্দিন নিজেই ১ শত পিস ইয়াবা ক্রয়ের প্রস্তাব দেন।
ছালাম কলিমের চাহিদা মোতাবেক ইয়াবা সংগ্রহ করে কলিম উদ্দিনের বাড়ীতে আসার পর আগে থেকে উৎপেতে থাকা ডিবি পুলিশ ছালামকে ধরতে উদ্যোগ নিলেও মুহূর্তের মধ্যে ছালাম সেখান থেকে পালিয়ে যায়।
এতে ছালামের বদ্ধমূল ধারণা জন্মে, পুরো ঘটনাটি মোতালেব সাজিয়েছেন।এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে ঘটনার দিন সন্ধ্যার পর মোতালেব যখন ছালামের ঘরের পাশ দিয়ে বাজারের দিকে যাচ্ছিল,
ঠিক সে সময়েই ছালাম দেশীয় তৈরী রামদা নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে মোতালেবের উপর। দু’ পক্ষের সংঘর্ষ ছালামের মাথায় আঘাত পেয়ে আহত হন। পরে ছালামকে দ্রুত উদ্ধার করে শেরপুর সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
গুচ্ছ গ্রামের বাসিন্দা ছামেদুল(৫০) জানান, এই গুচ্ছগ্রামে ৩০টি ঘর সরকার দিয়েছেন আমাদের থাকার জন্য, মাদক ব্যবসা করার জন্য নয়। অথচ ছালাম প্রকাশ্যে এখানে মাদক সেবন ও ব্যবসা করে পুরো এলাকাকে কুলশিত করে
ফেলছে, অথচ প্রশাসনের কোন উদ্যোগ নেই।এ ব্যাপারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুকএলাকাবাসীরা জানান, তারা উভয়েই মাদক ব্যবসায়ী। তাদের কারণে এলাকার উঠতি যুবকরা দিনদিন নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়ছে।
ঝিনাইগাতী থানার এসআই মাসুদ রানা ও এএসআই উজ্জল ঘটনাস্থল পরিদশন করেছেন।বাতিয়াগাঁও গুচ্ছগ্রামকে মাদক মুক্ত করতে প্রশাসনের প্রতি এলাকাবাসীরা দাবী জানিয়েছেন।