ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার শাহজাদাপুর ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য লিল মিয়া ও তার ছেলে রোমান মিয়ার ৩ বছরের জেল দিয়েছে আদালত।
গত মঙ্গলবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মাসুদ পারভেজের আদালতে লিল মিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা একটি মামলায় এ আদেশ দিয়েছেন।
আদেশের পরই লিল মিয়াকে উড়শিউড়া জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। তার ছেলে রোমান পলাতক রয়েছে। লিল মিয়া মুড়াহাটি এলাকার বলু মিয়ার ছেলে।
আদালত ভুক্তভোগী ও মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ খ্রিষ্টাব্দে অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনে সাধারণ সদস্য পদে নির্বাচন করতে মনোনয়নপত্র ক্রয় করেছিল লিল মিয়ার প্রতিবেশী প্রয়াত আব্দুস শহিদের ছেলে দুলাল।
লিল মিয়া নির্বাচন না করার জন্য দুলালকে চাপ দিতে থাকে। এক পর্যায়ে প্রাণনাশেরও হুমকি দেয়। নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ায় দুলাল। নির্বাচনে লিল মিয়া পরাজিত হয়। পক্ষে কাজ করেনি এমন অভিযোগ এনে দুলালের উপর ক্ষিপ্ত হয় লিল মিয়া।
২০১৬ খ্রিষ্টাব্দের ২৯ এপ্রিল নামাজ আদায় করে মসজিদ থেকে বাড়ি ফিরছিল দুলাল। বেলা ২টার দিকে আগে থেকে উৎপেতে থাকা লিল মিয়ার নেতৃত্বে ৫-৬ জন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে দুলালের উপর হামলা চালায়।
হামলাকারীদের উপর্যুপুরি আঘাতে গুরুতর আহত হয় দুলাল। আশঙ্কাজনক অবস্থায় দুলালকে প্রথমে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে ও পরে ঢাকায় প্রেরণ করেন।
এ ঘটনায় দুলালের ছোট ভাই মো. নিজাম মিয়া বাদী হয়ে ০১.০৫.২০১৬ সালে লিল মিয়া তার চার ছেলেসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে সরাইল মামলা দায়ের করেন।
দীর্ঘ ৫ বছর ১১ মাস পর গত ১২ এপ্রিল মঙ্গলবার এই মামলার রায় ঘোষণা করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মাসুদ পারভেজ।
রায়ে প্রধান আসামী লিল মিয়া (৫৩) ও তার ছেলে রোমান মিয়াকে (২৭) ৩ বছরের কারাদন্ডাদেশ দিয়েছেন। অন্য ৪ আসামীকে দেয়া হয়েছে বেকসুর খালাস। লিল মিয়াকে জেল হাজতে প্রেরণ করলেও রোমান মিয়া পলাতক রয়েছেন।
বাদী পক্ষের আইনজীবি এডভোকেট এ কে এম ফেরদৌস বলেন, সঠিক রায় দিয়েছেন আদালত। রায়ে সন্তোষ্ট না হলে জজকোর্টে আপীল করার বিধান রয়েছে।
সেটা করতে পারেন। আসামী পক্ষের আইনজীবি এডভোকেট নুরুজ্জামান লস্কর তপু বলেন, এই মামলায় এজহারের সাথে এমসি’র সামঞ্জস্য নেই। তাই ৩২৬ ধারার রায় আসতে পারে না। আমরা জজকোর্টে আপীল করব।