সুনামগঞ্জে এক প্রেমিক আত্মহত্যা করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। মৃত প্রেমিকের নাম- সিদ্দিক আলী (২৫)। সে জেলার জগন্নাথপুর উপজেলার কোনারাই গ্রামের আব্দুল করিমের ছেলে। এঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রেমিকা শারমিন আক্তার (২০) ও তার চাচা শাহিনুর মিয়া (৩৮) কে গ্রেফতার করে গতকাল শুক্রবার (১৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় জেলহাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ। চঞ্চলকর এই ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর থেকে পুরো জেলা জুড়ে শুরু হয়েছে তোলপাড়।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে- জেলার জগন্নাথপুর উপজেলার জয়দা গ্রামের মৃত সানুর মিয়ার মেয়ে শারমিন আক্তারের সাথে পাশর্^বর্তী কোনারাই গ্রামের সিদ্দিক আলীর দীঘদিন যাবত প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। তারই সূত্র ধরে পারিবারিক ভাবে বিয়ে প্রস্তাব দেয় প্রেমিক সিদ্দিক আলী। কিন্তু প্রেমিকা শারমিনের পরিবারের লোকজন প্রেমিক সিদ্দিকের বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাক্ষান করে।
এঘটনা জানতে পেরে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রেমিক সিদ্দিক তার প্রেমিকা শারমিনের সাথে দেখা করতে তাদের বাড়িতে যায়। কিন্তু প্রেমিকার পরিবারের লোকজন দেখা করতে দেয়নি। তাই অভিমান করে প্রেমিকার বাড়ির পাশর্^বর্তী এক যুক্তরাজ্য প্রবাসীর পরিত্যক্ত বাড়ির গাছে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করে। এঘটনার খবর পেয়ে গতকাল শুক্রবার সকালে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে প্রেমিক সিদ্দিক আলী মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের মর্গে পাঠায় এবং বিকেলে অভিযান চালিয়ে প্রেমিকা শারমিন আক্তার ও তার চাচা শাহিনুর মিয়াকে গ্রেফতার করে। সেই সাথে ময়না তদন্ত শেষে প্রেমিক সিদ্দিক আলীর লাশ গতকাল শুক্রবার রাতেই পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়। আর প্রেমিকা ও চাচাকে সুনামগঞ্জ জেলহাজতে পাঠানো হয়।
এঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জগন্নাথপুর থানা এসআই রাজিব সাংবাদিকদের বলেন- প্রেম সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে প্রেমিক সিদ্দিক আলীর আত্মহত্যা করার ঘটনায় প্রেমিকা শারমিন ও তার চাচা শাহিনুরকে গ্রেফতার করে জেলহাজাতে পাঠানো হয়েছে।